মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৩

জলের রাসায়নিক ফর্মুলা

টীচার পাপ্পুকে জিজ্ঞেস করলেন, "পাপ্পু বলো তো জলের রাসায়নিক ফর্মুলা কি?"

পাপ্পু, "স্যার, H2MgCl2NaClHNO3CaCO3Ca(OH)2SnTNHgNiHCL(COOH)!"

টীচার (একটু ঘাবড়ে গিয়ে), "এটা আবার কি?"

পাপ্পু, "স্যার, মিউনিসিপালিটি যে জলটা দেয়, সেটার কেমিক্যাল ফর্মুলা!"


শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৩

পাগলে কি না করে

পচাদা রোববার সকালে বাড়িতে বসে কাগজ পড়ছে, এমন সময় পচাবৌদি এসে আদুরে গলায় বললো, "হ্যাঁগো, আমি মরে গেলে তুমি কি করবে?"

পচাদা কাগজ থেকে মুখ না উঠিয়েই বললো, "আমিতো পুরো পাগল হয়ে যাবো!"

বৌদি, "তুমি আরেকটা বিয়ে করবে না তো?"

পচাদা এবার গম্ভীরভাবে বললো, "পাগল লোকেরা যেকোনও কিছুই করতে পারে।"


শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৩

বাইক তো দেবোই

আমাদের পচাদা তার ছেলেকে বললো, "তুই পরীক্ষায় পাশ বা ফেল, যাই করিস না কেনো, আমি তোকে একটা বাইক কিনে দেবোই!"

ছেলে বললো, "কোন বাইক বাবা?"

পচাদা, "তুই যদি পাশ করিস তো পালসার কিনে দেবো। আর যদি ফেল করিস তাহলে রাজদূত কিনে দেবো দুধ বিক্রী করার জন্যে!"


চাবি হারিয়ে গেছে

আমাদের সান্টা দরজাটা পিঠে নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলো। পচাদা জিজ্ঞেস করলো, "এই সান্টা, এরকমভাবে দরজা কাঁধে নিয়ে যাচ্ছিস কোথায়?"

সান্টা বললো, "আররে পচাদা, আমার ঘরের চাবিটা হারিয়ে গেছে। তাই দরজাটা নিয়ে তালাচাবি খোলার কারিগরের কাছে নিয়ে যাচ্ছি!"


রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

নাম বলো

একজন নতুন শিক্ষক তার স্কুলের ছাত্রকে জিজ্ঞেস করলেন, "এই পাখীটার পা দেখো আর এটার নাম বলো।"
ছাত্র বললো, "জানি না স্যার!"
শিক্ষক বললেন, "তুমি একটা গাড়ল, তোমার নাম বলো!"
ছাত্র বললো, "এই দেখো আমার পা, আর আমার নাম বলো!"


শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

পটলদা আর পটলবৌদি

পটলদা খুবই অসুস্থ! ডাক্তার পটলদাকে চেক-আপ করে বৌদিকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বললেন, "ওনার হার্টের অবস্থা ভালো নয়। ওনাকে প্রতিদিন ভালো ভালো খাবার রান্না করে খাওয়াবেন। ওনার সাথে ভালো ব্যবহার করবেন, কোত্থাও বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বায়না করবেন না। বাড়িতে কোনও টিভি সিরিয়াল দেখবেন না। এভাবে ছয়মাস চললেই উনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।"
ডাক্তার চলে যাওয়ার পর পটলদা বৌদির কাছে জানতে চাইলো, "হ্যাগো, ডাক্তার কি বললো?"
বৌদি খুব দুঃখিত হয়ে বললো, "কি আর বলবে! তোমার বাঁচার আর কোনও আশা নেই গো!"


বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

একদম না

একজন লোক লাইব্রেরীতে গিয়ে বললো, "দাদা, আমি আত্মহত্যা করবো। আপনি কি আমাকে আত্মহত্যার ওপর কোনও ভালো বই দিতে পারেন?"
লাইব্রেরিয়ান খুব গম্ভীরভাবে মাথা নেড়ে বললো, "একদম না দাদা, একদম না! আমি খুব ভালো ভাবেই জানি যে আপনি ঐ বইটা আমাকে ফেরত দেবেন না।"


প্রতিশোধ

পচাদা পাড়ার সন্ধের আড্ডায় এসে বললো, "এতোদিনে সবাই মিলে ভারতের ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছে।"
আমরা সবাই তো হাঁ! জিজ্ঞেস করলাম, "হঠাৎ এই কথা কেনো দাদা?"
পচাদা গম্ভীরভাবে বললো, "টাকার দাম কিরকমভাবে নামছে দেখেছিস? আরো দেশের আণ্ডারওয়ারের নাম রাখো ইউরো আর ডলার!"


অমিতাভ বচ্চন না থাকলে

সান্টা সিং বান্টা সিং কে বলছে, "আরে ভাই বান্টা, অমিতাভ বচ্চন না থাকলে অভিষেক বচ্চনের কি হতো রে?"
বান্টা বললো, "কিছুই হতো না! অভিষেকও আমাদের মতন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তো!"


কথা মানা

পচাদা সেদিন পাড়ায় এসে বলছে, "জানিস ভাই, আমার ছেলে আমার সব কথাই মানে।"
এই শুনে বেশ কয়েকজন উৎসুক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, "ভাইরে, এই অসাধ্যসাধনটা কি করে করলি?"
পচাদা বললো, "আমি আমার ছেলেকে বলে রেখেছি যে মনে যা আসে তাই যেনো করে!"


জীবনে কি বনবে?

শিক্ষক তার ছাত্রকে বললেন, "এভাবেই যদি পড়াশুনো করতে থাকো, তাহলে এই জীবনে কিছুই করতে পারবে না!"
ছাত্র খুব কনফিডেন্টলি বললো, "স্যার, জীবনে যদি কিছুই বনতে না পারি, তাহলে শিক্ষক বনে যাবো স্যার!"


পপুলার নেটওয়ার্ক

আমাদের পচাদার ছেলে মোবাইল কোম্পানিতে চাকরীর ইন্টারভিউ দিতে গেলো। 
সন্ধেবেলা পাড়ার আড্ডায় সব্বাই পচাদাকে জিজ্ঞেস করছে, "কি দাদা, ছেলের চাকরীটা হলো?"
পচাদা হতাশভাবে বললো, "আর বলিস না ভাই, চাকরীটা হয়নি।"
সবাই একসাথে, "কিন্তু কেনো?"
পচাদা, "আরে, ওকে জিজ্ঞেস করেছিলো যে সবথেকে পপুলার নেটওয়ার্ক কোনটা। আর ছেলে আমার উত্তর দিলো কার্টুন নেটওয়ার্ক!"


দাঁতের বড়াই

পল্টু তার বন্ধুকে বললো, "দ্যাখ, দ্যাখ, আমার দাঁত কিরকম হিরের মতন চকমক করছে!"
বন্ধু বললো, "ছাড় ভাই! দেখ আমার দাঁত কি তোর থেকে কিছু কম? একদম সোণার মতন হলুদ!"


বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০১৩

ট্রাক নাম্বার বি সি ১৭৬০

পচাদা আর তার বন্ধু বান্টা সিং মিউজিয়ামে বেড়াতে গেছে। সেখানে গিয়ে দেখলো একটা মিশরের মমি দাঁড় করানো আছে।
পচাদা বান্টাকে বললো, "লোকটা মরলো কিভাবে?"
বান্টা বললো, "যেভাবে ব্যাণ্ডেজ জড়ানো আছে, এটা নিশ্চয়ই ট্রাক এ্যাকসিডেন্টের কেস। আররে দ্যাখ, দ্যাখ, ট্রাকের নাম্বারটাও লেখা আছে। বি সি ১৭৬০ (BC 1760)!"


দুধটা খারাপ

সান্টা সিং পাড়ার গোয়ালার দোকানে গিয়ে বললো, "তুই ব্যাটা বাসি, খারাপ দুধ বিক্রী করিস! তোর দোকানের দুধ শরবতে ঢালার সাথে সাথে ফেটে গেলো!"
গোয়ালা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, "কোন শরবতে ঢেলেছিলে?"
সান্টা রাগতভাবে বললো, "কেনো, লেবুর শরবতে!"


বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০১৩

দুই সৈনিকের গপ্পো

ডিউটি শেষ হওয়ার পর দুজন সৈনিক বসে গল্প করছিল।
প্রথমজন জিজ্ঞেস করলো, "তুমি সেনাবাহিনীতে কেনো যোগ দিয়েছ?"
দ্বিতীয় সৈনিক বললো, "আমি বিয়ে করিনি আর যুদ্ধটুদ্ধ করতেও আমার বেশ ভালো লাগে - তাই আমি আর্মিতে যোগ দিয়ে দিলাম।" এই বলে সে আবার জিজ্ঞেস করলো, "আর তুমি? তুমি কেন সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছ?"
প্রথম সৈনিক একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো, "বাড়িতে আমার একটা বউ আছে আর আমি শান্তিতে থাকতে বেশ ভালোবাসি। তাই সেনাবাহিনীতেই যোগ দিলাম।"


আজকে তো ফাইনাল ম্যাচ

আমাদের পচাদা গেছে ডাক্তারের কাছে। গিয়েই বললো, "ডাক্তারবাবু, আমি আজকাল ঘুমোলেই আইপিএলের লাইভ ম্যাচ স্বপ্নে দেখতে পাই। কি করি বলুন তো?"
ডাক্তারবাবু পচাদাকে পরীক্ষা করে দুটো ওষুধের নাম লিখে দিয়ে বললেন, "কোন চিন্তা নেই। আপনি এই দুটো ওষুধ খান। এতেই সব ঠিক হয়ে যাবে।"
পচাদা বললো, "থ্যাঙ্ক ইউ ডাক্তারবাবু! তবে ওষুধদুটো কাল থেকে খাবো। আজ রাতেই তো ফাইন্যাল ম্যাচ!"


বুধবার, ৩১ জুলাই, ২০১৩

ফেল করলে বাবা বলিস না

পচাদার ছেলে তিন বছর ধরে ম্যাট্রিক দিয়েই যাচ্ছে! এদিকে ওর ছোট বোনও হায়ার সেকেণ্ডারিতে পৌঁছে গেছে। শেষে বিরক্ত হয়ে পচাদা এবার পরীক্ষার আগে ওর ছেলেকে বললো, "এবারো যদি তুই পরীক্ষাতে ফেল করিস, তাহলে আমাকে বাবা বলে ডাকবি না!"
যথাসময়ে পরীক্ষা হয়ে গেলো, ফলও বেরোলো।
ছেলে বাড়ি ফেরার পর পচাদা বললো, "কিরে, পরীক্ষার ফল কেমন হলো?"
ছেলে গম্ভীরভাবে বললো, "আঃহ, খালি উল্টোপাল্টা কথা বলো না তো পচাবাবু!"


ভূমিকম্পে বাড়ি তো ভাঙ্গবে মালিকের

বান্টা সিং রাতে লাফিয়ে উঠে সান্টাকে বললো, "ওয়ে সান্টা, ওঠ, ওঠ! হেভি ভূমিকম্প দিচ্ছে। পুরো ঘর যেভাবে নড়ছে, যেকোনও সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে।"
সান্টা সিং বিরক্ত হয়ে বললো, "আবে বান্টা, ঠাণ্ড রাকখিও! বাড়ি ভাঙ্গলে তো ভাঙ্গবে মালিকের, আমরা তো ভাড়াটে!"


চুরি

বান্টা সিং সকাল-সকাল পুলিশ থানায় গিয়ে হাজির।
ইন্সপেক্টরকে বললো, "অফিসার, কাল রাতে আমার বাড়িতে চুরি হয়ে গেছে। চোর টেলিভিশন ছাড়া বাকি সবকিছু নিয়ে চলে গেছে।"
ইন্সপেকটর অবাক হয়ে বললেন, "টিভিটা নিতে পারেনি? অথচ বাকি সবকিছু নিয়ে গেলো?"
বান্টা সিং বললো, "টিভিটা নেবে কিভাবে? আমি তো তখন টিভি দেখছিলাম!"


সোমবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৩

ইন্টারভিউ

চাকরীর ইন্টারভিউ চলছে ...
বস, "আমরা কাউকে চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে মাত্র দুইটা রুল ফলো করি।"
সান্টা সিং, "কি কি স্যার?"
বস, "আমাদের দ্বিতীয় রুল হচ্ছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। আপনি কি এখানে আসার আগে রুমের বাইরে রাখা ম্যাট এ জুতোর তলা মুছে এসেছেন?"
সান্টা সিং, “হ্যাঁ স্যার, হ্যাঁ স্যার!”
বস, "আমাদের প্রথম রুল হলো বিশ্বাসযোগ্যতা এবং আপনার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে বাইরে কোন ম্যাট ছিলোই না! কাজেই আপনাকে বিশ্বাস করা যাচ্ছে না। আর চাকরীর ব্যাপারটাও ভুলে যান!"




বাপের রাস্তা

বনের রাস্তার ঠিক মাঝখানটায় এক সিংহ শুয়ে আছে।
তা দেখে খুবই ভয়ে ভয়ে একটা শেয়াল তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল, "মহারাজ, আপনি এই অবেলায়, রোদের মধ্যে, মাঝরাস্তায় শুয়ে আছেন যে?"
সিংহ কাতরভাবে বললো, "আরে সাধে কি শুয়ে আছি? গুলি লেগেছে উঠতে পারছি না।"
এটা শুনেই শেয়াল জোর গলায় বললো, "তাই বলে তোর বাবার রাস্তা মনে করে শুয়ে থাকবি নাকি? রাস্তা থেকে সরে গিয়ে মর!"


নকলিফাই

পরীক্ষায় নকল করে অনেক লোক সফল হয়েছেন। কিন্তু এর উলটোটার উদাহরণও প্রচুর।

পরীক্ষায় প্রশ্ন এলো - শাহজাহান সম্বন্ধে দু-লাইনে লেখো।
ক্লাসের ফার্স্টবয় লিখলো, "যুদ্ধে হারিয়া শাহজাহান ভাঙ্গিয়া পড়িতেন না।"
তার ঠিক পেছনে বসে পচাদা লিখলো, "যুদ্ধে হারিয়া শাহজাহান জাঙ্গিয়া পড়িতেন না।"


শনিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৩

লেখা পড়া

এক ছাত্রী তার প্রাইভেট টিউটরকে বললো, "স্যার, আপনি কি এই পাঁচ বছরে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে একবারও বুঝতে পারেন নি যে আমার চোখদুটোতে কি লেখা আছে?"

স্যার বললেন, "পাঁচ বছরে এখনো তোমার হাতের লেখাই ঠিকমত বুঝতে পারিনা ... আর চোখ!"


প্রতিবেশীর কুকুর

প্রতিবেশীর কুকুরটার চিৎকারে বিরক্ত এক দম্পতি। এক মাঝরাতে বিছানা থেকে উঠেই গেলেন বাড়ির কর্তা। যেতে যেতে বললেন, "অনেক হয়েছে। আজ এর একটা বিহিত করতেই হবে।" 
এই বলেই হনহন করে বেরিয়ে গেলেন তিনি।
কিছুক্ষণ পর ফিরলেন। 
স্ত্রী জিজ্ঞেস করলেন, "কি বিহিত করে এলে, শুনি?"
কর্তা বললেন, "কুকুরটাকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে এসেছি। এবার বুঝুক, প্রতিবেশীর কুকুরের চিৎকার কেমন লাগে!"


বেয়াদব প্রতিবেশী

থানায় ঢুকেই ভদ্রমহিলা রাগে ফেটে পড়লেন, "ইন্সপেক্টর সাহেব, আমি আমার প্রতিবেশীর বিচার চাই। লোকটা একটা আস্ত বেয়াদব এবং ছোটলোক।"
ইন্সপেক্টর, "কেন? কী করেছে সে?"
ভদ্রমহিলা, "আমি যখনই তার বাড়িতে উঁকি দিই, দেখি সে-ও উঁকি দিয়ে আছে!"


বুধবার, ২০ মার্চ, ২০১৩

ভারতে বরফ সবচেয়ে বেশী কোথায় পড়ে?

এক ইংরেজ ভারতে বেড়াতে এসে সান্টা সিংকে জিজ্ঞেস করলো, "ভারতে সবচেয়ে বেশী বরফ কোথায় পড়ে?"

সান্টা সিং বললো, "সাহেব, রাত আটটার আগে কাশ্মীরে। আর রাত আটটার পর হুইস্কির গ্লাসের মধ্যে।"


ছাত্রজীবনের সবথেকে মজার মুহূর্ত

একজন ছাত্রের জীবনের সবচেয়ে মজার মুহূর্তটা কখন আসে?

যখন পরীক্ষায় সে বসে আছে, একটাও প্রশ্নের উত্তর জানেনা, আর পেছন দিক থেকে টিচার এসে বলছেন, "এই তুমি, খাতাটা ঢেকে রাখো। পেছনের ছেলেটা তোমার খাতা থেকে নকল করছে!"