বুধবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১২

রজনীকান্ত চুটকি - এক

* রজনীকান্তের সিনেমা রোবট-এর থেকে কোন জিনিসটা শিখতে পারা যায়?
এটাই, যে সুন্দরী মেয়েরা শুধু ছেলেদেরই নয়, রোবটের মাথাও খেয়ে ফেলতে পারে!

* ব্রেকিং নিউজ! রজনীকান্ত বিগ বস ৬ এ যোগ দিচ্ছেন!
পরের দিন - 
"রজনীকান্ত চাহতে হ্যায় কি বিগ বস তুরন্ত কনফেশন রুম মে আয়ে।"

বিষাক্ত মাশরুম

এক মহিলা তার পুরোনো বন্ধুকে হঠাৎ করে শপিং মলে পেয়ে গেলেন। দুজনেই খুব খুশী হয়ে একটা কফিশপে বসে গল্প করছিলেন। কথায় কথায় প্রথম মহিলা বললেন, "এইতো, সামনের মাসে আমি চতুর্থবার বিয়ে করছি।"
বন্ধু শুনে বললো, "ওহ! খুব ভালো কথা। তা তোর প্রথম বিয়েটা কি করে ভাঙ্গলো?"
প্রথম মহিলা, "আর বলিস না ভাই। আমার বর বিষাক্ত মাশরুম খেয়ে মারা যায়।"
বন্ধু, "ওঃহো! কি আর করবি ভাই, জীবনটা এরকমই। তা দ্বিতীয় বরের কি হলো?"
প্রথম মহিলা, "আর বলিস না ভাই। দু নম্বর বরও বিষাক্ত মাশরুম খেয়ে মারা যায়।"
বন্ধু, "একিরে! সর্বনাশ! তা তিন নম্বর বরের কি হলো?"
প্রথম মহিলা, "আর বলিস না ভাই। তিন নম্বর বর ঘাড় ভেঙ্গে মারা যায়।"
বন্ধু, "ঘাড় ভেঙ্গে? কিভাবে?"
প্রথম মহিলা, "আর বলিস না ভাই। ও তো মাশরুমটা খেলোই না।"

কথা বলা ঘড়ি

চাকরী পেয়ে আমাদের সুমিত একটা নতুন এ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিয়েছে। পাড়ার বন্ধুরা সুমিতের ঐ এ্যাপার্টমেন্ট দেখতে গেলো।
সুমিত খুবই গর্বিতভাবে পুরো ফ্ল্যাটটা সবাইকে ঘুরিয়ে দেখাচ্ছিলো। হঠাৎ একটা বিশাল পেতলের ঘন্টা আর হাতুড়ি দেখতে পেয়ে বন্ধুরা জিজ্ঞেস করলো, "এই সুমিত, এটা কি রে?"
সুমিত বললো, "আরে এটা! এটা হলো কথা বলা ঘড়ি।"
বন্ধুরা একটু অবাক হয়ে আবারো জিজ্ঞেস করলো, "আচ্ছা, এটা কিভাবে কাজ করে?"
সুমিত বললো, "দাঁড়া, আমি দেখাচ্ছি।"
এই বলেই হাতুড়িটা দিয়ে গায়ের জোরে এক ঘা বসালো ঐ ঘন্টায় আর ঘন্টা থেকে এক কান ফাটানো আওয়াজ বেরোলো।
সাথে সাথেই দেওয়ালের ওধার থেকে একটা চীৎকার ভেসে এলো, "আরে পাগল নাকি? রাত দুটোর সময় এটা কি ইয়ার্কি হচ্ছে?" 

মঙ্গলবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১২

ফুটবলের নিয়ম কানুন

ইন্টার স্কুল ফুটবলের ফাইন্যাল খেলা চলছিলো।
একটা ফাউলের জন্য একটু সময় খেলা বন্ধ করা হলো। এই ফাঁকে এক দলের কোচ তার একজন প্লেয়ারকে ডেকে বললেন, "আচ্ছা ফুটবল খেলাটা যে টিমগেম সেটা বুঝেছো?"
ছেলেটা বললো, "হ্যাঁ স্যার।"
কোচ বললেন, "ভালো। এটাও বুঝেছো কি যে এই খেলায় একা একা জেতা যায় না? একটা দল হিসেবে খেলেই জিততে হয়। আর রেফারির সিদ্ধান্তই খেলার মধ্যে চূড়ান্ত? খেলার মধ্যে একটু আধটু ধাক্কাধাক্কি হবেই। কিন্তু তাই বলে কোন প্লেয়ার মাটিতে পড়ে গেলেই ফাউল হয় না? আর লাইন্সম্যান বা রেফারি কোন একটা অফসাইড না দিলে বা ফাউল না ধরলেও দল হিসেবে খেলা চালিয়ে যেতে হয়? রেফারি বা লাইন্সম্যানের দিকে তেড়ে যাওয়া উচিত নয় বা তাদের এবং তোমার বিপক্ষ দলের ফুটবলারদেরকে মারধরের হুমকি দেওয়া বা গালাগালি করা উচিত নয়?"
ছেলেটা ঘাড় নেড়ে বললো, "হ্যাঁ স্যার, এগুলো সবই তো আমি জানি।"
কোচ বললেন, "গুড, খুব ভালো কথা! এখন যাও, গিয়ে তোমার মাকে পুরো ব্যাপারটা বুঝিয়ে এসো।"

সান্টা সিং এর পুলিশে চাকরীর প্রথম দিন

পরীক্ষায় পাশ করে সান্টা সিং দিল্লী পুলিশে চাকরী পেয়ে গেলো। ডিউটির প্রথম দিন। সান্টা সিংকে সিনিয়র ইন্সপেকটর বান্টা সিং এর সাথে জুড়ে দিয়ে ওসি বললেন, "আজ থেকে তোমরা দুজনে একসাথে কাজ করবে।" একটু পরে একটা জিপসি গাড়ি করে দুজনে এলাকা রাউণ্ডে বেরোলো।
হঠাৎ ওয়ারলেসে খবর এলো যে বেশ কিছু লোক নাকি রাস্তায় জড়ো হচ্ছে। সান্টা আর বান্টাকে কন্ট্রোল রুম থেকে নির্দেশ দেওয়া হলো যে ওই ভিড়টাকে যেনো ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বান্টা গাড়ি ঘুরিয়ে ঐ রাস্তার মোড়ের দিকে চললো। একটা ট্রাফিক সিগন্যালের কাছে হঠাৎ সান্টা দেখতে পেলো যে অনেক লোক - প্রায় জনা চল্লিশ হবে - ভিড় করে দাঁড়িয়ে আছে।
সান্টা গাড়ির কাঁচ নামিয়ে ভিড়ের দিকে মুখ করে চীৎকার করলো, "এই তোমরা শোনো। ওখানে ভিড় করবে না। ওখান থেকে এক্ষুনি সরে যাও।"
লোকেরা অবাক হয়ে সান্টার দিকে তাকালো, কিন্তু কেউই ওখান থেকে নড়ার কোন চেষ্টা করলো না।
সান্টা রেগে গিয়ে আবার বললো, "কি হলো? আমার কথা কানে যাচ্ছে না বুঝি? এক মিনিটের মধ্যে এই জায়গাটা ফাঁকা হয়ে যাওয়া চাই!"
লোকেরা সান্টার দিকে অদ্ভুতভাবে তাকাতে তাকাতে জায়গাটা থেকে আস্তে আস্তে সরে পড়লো।
সান্টা বেশ খুশী হয়ে বান্টার দিকে তাকিয়ে বললো, "বান্টা স্যার, কেমন কাজ করলাম বলুন?"
বান্টা সিং হাসি চাপতে চাপতে বললো, "বহোত বড়িয়া, খুব ইম্প্রেসিভ। বিশেষ করে তুমি যেভাবে লোকগুলোকে বাস স্ট্যাণ্ড থেকে তাড়িয়ে দিলে, তা থেকে মনে হচ্ছে ভিড়টাকেও হালকা করে দিতে পারবে!"

বৃহস্পতিবার, ১২ এপ্রিল, ২০১২

গণতন্ত্র

ক্লাসের মধ্যে স্যার জিজ্ঞেস করলেন, "গণতন্ত্র কি? কেউ কি এককথায় বুঝিয়ে বলতে পারবে?"
পল্টু উঠে দাঁড়িয়ে বললো, "স্যার, গণতন্ত্র একটা সিস্টেম, যেখানে যেকোনও নাগরিকই দেশের প্রধান হয়ে যেতে পারে। শুধু, তার কাছে একশো কোটি টাকার মতন থাকতে হবে!"

বৃহস্পতিবার, ৫ এপ্রিল, ২০১২

ঘড়িটা স্লো হয়ে যাচ্ছে

স্ত্রী, "জানো আজকে কতো বড় একটা দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গেলাম!"
স্বামী, "আবার কি হলো?"
স্ত্রী, "মা ঘড়িটার নীচে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় ঘড়িটা ভেঙ্গে পড়ে গেলো। আর দু সেকেণ্ড আগে পড়লেই মায়ের মাথায় পড়তো। ভাবো কি কাণ্ডটাই না হতো!"
স্বামী, "হুম, অনেক দিন ধরেই ভাবছি যে ঘড়িটা স্লো হয়ে যাচ্ছে।"

জেনারেল নলেজ

পচাদা পাড়ার চায়ের দোকানে বসে পল্টুর জি কে টেস্ট করছে।
পচাদা, "বল তো, যে লোক ভুল করে স্বীকার করে, তাকে কি বলে?"
পল্টু, "জানি না।"
পচাদা, "গর্দভ। তাকে বলে সৎ। আচ্ছা বল যে লোকটা ফ্যাসাদে পড়ে ভুলটা স্বীকার করে নেয়, তাকে কি বলে?"
পল্টু, "এটাও জানিনা।"
পচাদা, "রামছাগল! তাকে বলে বুদ্ধিমান। এবার বল তো যে লোক কোন ভুল না করেও ভুল স্বীকার করে নেয়, তাকে কি বলে?"
পল্টু, উৎসাহিত হয়ে, "এটা জানি গো। তাকে বলে বিবাহিত।"

বিবাহের ফিউচার টেন্স

কলেজের ফার্স্ট ইয়ারে ইংলিশের স্যার পল্টুকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, "বলতো বিবাহের ফিউচার টেন্স কি?"
পল্টুর হাতেগরম জবাব, "ডিভোর্স স্যার!"

তোমার রূপ আর আমার বুদ্ধি

শোনা যায় যে মার্ল ওবেরন নাকি আইনস্টাইনকে একটা পার্টিতে কাছে পেয়ে বলেছিলেন, "ডার্লিং, শোনো না সোণামণি, আমাদের কিন্তু বিয়ে করে ফেলা উচিত। আমাদের যে বাচ্চাটা হবে সে হবে তোমার মতন বুদ্ধিমান আর আমার মত সুন্দর।"
আইনস্টাইন একটু মুচকি হেসে বলেছিলেন, "কুইনিসোণা, যদি উলটোটা হয়? তোমার বুদ্ধি আর আমার রূপ পায়, তাহলে?"

চিরকাল ঋণী হয়ে থাকবো

পল্টু এসে আমাকে বললো, "জানিস ভাই, সেদিন পচাদাকে আমি দুশো টাকা ধার দিলাম। টাকাটা পকেটে ঢুকিয়ে পচাদা বললো যে ও আমার কাছে চিরঋণী হয়ে থাকবে।"
আমি, "যাঃহ। তুই কি বোকা রে! জীবনেও ঐ টাকা আর ফেরত পাবি না।"
পল্টু মাথাটা একটু চুলকে বললো, "যাই বলিস না ভাই, পচাদার কিন্তু একটা গুণ আছে। ও সত্যবাদী। তাই তো আমাকে বললো যে চিরঋণী হয়ে থাকবে।"

ছুরি না পিস্তল

জজসাহেব আসামীকে জিজ্ঞেস করলেন, "আচ্ছা মশাই, আপনার কাছে তো পিস্তলও ছিলো। তা আপনি পিস্তল দিয়ে আপনার স্ত্রীকে খুন না করে ছুরি দিয়ে করলেন কেনো?"
আসামীর চটপট জবাব, "আজ্ঞে হুজুর ধর্মাবতার, এটার দুটো কারন। প্রথমটা হলো যে আজকাল একটা গুলির দাম প্রায় দুশো টাকা, তা অতো টাকা ঐ মহিলার ওপর বরবাদ করার কোনও ইচ্ছে আমার হয় নি। আর প্রধান কারনটা হলো, ঐ সময়ে আমার ছেলেমেয়ে ঘুমোচ্ছিল। আর আমি তাদের ঘুম নষ্ট করতে চাই নি।"

মরণের পারে

আমাদের পচাদা যে অফিসটাতে চাকরী করে, তার বস সকাল সকাল পচাদাকে কেবিনে ডাকলেন।
বস, "তা পচা, তুমি কি লাইফ আফটার ডেথ, মানে মৃত্যুর পরেও জীবনের কিছুটা রয়ে যায় - এই থিয়োরিতে বিশ্বাস করো?"
পচাদা, "হ্যাঁ স্যার, নিশ্চয়ই করি।"
বস, "আচ্ছা! তাহলে তো ঠিকই আছে। কালকে তুমি দুপুরবেলা তোমার দিদিমা মারা গেছেন বলে ছুটি নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার আধঘন্টা মতন পরেই তিনি তোমার খোঁজে অফিসে এসেছিলেন!"

সোমবার, ২ এপ্রিল, ২০১২

সান্টা সিং আর পাকিস্তানী বর্ডার গার্ড

সান্টা সিং বাইকে করে ওয়াঘা চেকপোস্ট দিয়ে পাকিস্তান যাচ্ছিলো। পাকিস্তানি রেঞ্জার্স ওকে আটকে জিজ্ঞেস করলো, "সর্দার, তোমার বাইকের দুপাশে যে দুটো বড়ো বস্তা ঝুলিয়ে নিয়ে যাচ্ছো, সেটাতে কি আছে?"
সান্টা বললো, "জনাব, আমার দাদুর ছোটবেলার বন্ধু দেশভাগের সময় পাকিস্তানে চলে গেছিলেন। কিন্তু আজও নিজের গাঁয়ের কথা ভুলতে পারেন নি। আমি যতবারই পাকিস্তানে যাই, ওনার জন্য দুব্যাগ গ্রামের মাটি নিয়ে যেতে হয়।"
রেঞ্জার্সের অফিসার বললো, "শালা, আমাকে ঢপ দিচ্ছো? দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা!" বলেই গার্ডের দিকে তাকিয়ে বললো, "এই বাইক আর ব্যাগদুটো নিয়ে ভালো করে চেক কর।"
ঘন্টা দুয়েক চেক করার পরও কিছুই পাওয়া গেলো না। বাধ্য হয়ে অফিসারটা সান্টাকে চলে যেতে দিলো। 
একই ঘটনা বার-বার ঘটতে থাকলো। আর অফিসারেরও রোখ চেপে গেলো যে একদিন না একদিন সান্টাকে ধরবেই। কিন্তু সান্টাকে ধরার আগেই তার ট্রান্সফার অর্ডার এসে গেলো।
বছরখানেক পর হঠাৎ করে সান্টার সাথে সেই অফিসারের দেখা হয়ে গেলো। সান্টা তখন লাহোরের এক দোকানে বসে আরাম করে মালাই দেওয়া চা খাচ্ছিল।
অফিসারকে দেখে সান্টাও খুশী হয়ে বললো, "এসো ভাই, একটা চা খেয়ে যাও।"
অফিসার সেখানে বসে সান্টাকে বললো, "দেখো ইয়ার, তোমার সাথে আমার তো মোটামুটি বন্ধুত্বই হয়ে গেছে। আর এতোদিন ধরেও আমি ধরতে পারলাম না যে তুমি আসলে কি স্মাগলিং করছিলে, যদিও আমি নিশ্চিত যে তুমি স্মাগলিংই করতে। এখন তো আর বলতে অসুবিধে নেই। দয়া করে বলবে কি তুমি কোন জিনিসটা স্মাগলিং করছিলে?"
সান্টা সিং মুচকি হেসে, চায়ে একটা লম্বা চুমুক দিয়ে বললো, "মোটরবাইক!"  

রজনীকান্ত আর জেমস বণ্ড

জেমস বণ্ড সিরিজের শেষ সিনেমা। নাম, Gone with the Rajani। সেই সিনেমার শেষ ক্লাইম্যাক্স সিন হচ্ছে।
জেমস বণ্ড তার ওয়ালটার পিপিকে পিস্তল রজনীর দিকে তাক করে বললো, "দ্য নেম'স বণ্ড। জেমস বণ্ড!" ঠোঁটের কোনায় একটা তাচ্ছিল্যের হাসি ঝুলিয়ে বণ্ড সোজা রজনীকান্তকে গুলি করলো এবং ---
-----
-----
-----
জেমস বণ্ড মরে গেলো!
আসলে বণ্ড যেই না গুলিটা করেছে, রজনীকান্ত জোরে একটা ফুঁ দিয়েছে। ব্যস! হাওয়ার ধাক্কায় বুলেট সামনের দিকে আসার বদলে পেছনে দিকে চলে গেলো এবং বণ্ডের হাসিমুখের ফাঁক দিয়ে ভেতর ঢুকে কাম তামাম করে দিলো।
এবার রজনীকান্ত পকেট থেকে সিগারেট বার করে ধরিয়ে নিয়ে বললো, "ইয়ান্না র‍্যাসকেল্লা! মাই নেম ইজ কান্ত, রজনীকান্ত, এণ্ড আই এম নট এ্যা মিয়ার মর্টাল! মাইণ্ড ইট!" 

সান্টা সিং বুদ্ধিমান

ভারত থেকে লাহোরের দিকে চলেছে সমঝোতা এক্সপ্রেস। 
একটি কামরায় মাত্র ৪ জন যাত্রী। একজন দারুণ সুন্দরী তরুণী, একজন মাঝবয়সী মহিলা, একজন পাকিস্তানী সৈনিক এবং চতুর্থজন হলো সান্টা সিং।
ট্রেন হঠাৎ ঢুকল একটা অন্ধকার টানেলের ভিতর। কামরার ভেতরটা নিমেষে অন্ধকার হয়ে গেল।
সেই অন্ধকারের ভেতর হঠাৎ শোনা গেল চুম্বনের শব্দ এবং ঠিক তারপরেই একটা বিরাশী সিক্কার চড়ের আওয়াজ।
ট্রেনটা টানেল পেরিয়ে আলোর মধ্যে চলে এলে দেখা গেল যে পাকিস্তানী সেনাটি গালে হাত দিয়ে বসে আছে আর সান্টা জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকার চেষ্টা করছে।
মাঝবয়সী মহিলা কড়া চোখে পাকিস্তানী সেনাটির দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবলো, ওই সুন্দরী তরুণীকে চুমু খেয়েছে বলে মেয়েটি তাকে খুব জোর থাপ্পড় মেরেছে।
তরুণী ভাবছে, আচ্ছা বেয়াকুব তো পাকিস্তানী সেনাগুলো! কোনও কাণ্ডজ্ঞান নেই, এক মাঝবয়সী মহিলাকে চুমু খেয়ে থাপ্পড় খেলো!
পাকিস্তানী সেনাটা গালে হাত বুলোতে বুলোতে ভাবছে, শালা, কি ধরণের বদমাস ওই ভারতীয় সর্দারটা। অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে চুমু খেল সুন্দরীকে, আর থাপ্পড়টা খেলাম আমি!!

সান্টা সিং জানালা দিয়ে বাইরের দৃশ্য দেখতে দেখতে মনে মনে হাসছে আর ভাবছে, পাকিস্তানিটাকে কেমন দিলাম! চুমু খেলাম আমার নিজের হাতের তালুতে, আর তারপর সপাটে চড় কষিয়ে দিলাম পাকিস্তানীর গালে।

রবিবার, ১ এপ্রিল, ২০১২

বিভিন্ন দেশের পর্যটনের বিজ্ঞাপন

আজকাল মোটামুটি সব দেশই পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য বিজ্ঞাপনের পেছনে যথেষ্ট টাকা পয়সা খরচ করে। এরকমই কিছু দেশের বিজ্ঞাপন -
  • মালয়েশিয়া - মালয়েশিয়া, ট্রুলি এশিয়া।
  • কেরালা - গড'স ওয়ন কানট্রি।
  • ভারত - ইনক্রেডিবল ইণ্ডিয়া! এবং অতিথি দেবো ভবায়ঃ।
  • অস্ট্রেলিয়া - দেয়ার ইজ নাথিং লাইক অস্ট্রেলিয়া।
  • মালদ্বীপ - অলওয়েজ ন্যাচারাল।
  • বাংলাদেশ - বিউটিফুল বাংলাদেশ - স্কুল অফ লাইফ।
  • সুইজারল্যাণ্ড - সুইজারল্যাণ্ড। গেট ন্যাচারাল।
  • স্কটল্যাণ্ড - লিভ ইট। ভিজিট স্কটল্যাণ্ড।
  • স্পেন - স্মাইল! ইউ আর ইন স্পেন! এবং স্পেন! এভরিহ্যোয়ার আনডার দ্য সান।
  • ভিয়েতনাম - এ টাইমলেস চার্ম।
কিন্তু এদের সব্বাইকে হারিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান ট্যুরিজমের বিজ্ঞাপন। এই বিখ্যাত বিজ্ঞাপনটা হলো -
  • পাকিস্তান - ভিজিট পাকিস্তান। হ্যাভ এ ব্লাস্ট, টিল ইউ লাস্ট!