বৃহস্পতিবার, ৩১ মে, ২০১২

আঙুল চুষলে পেট ফুলে যায়

আমাদের পাশের বাড়ির বাচ্চাটার ডাকনাম হুলো। কিন্তু সে ম্যাঁও-ম্যাঁও মোটেই করে না। এদিকে তার আবার আঙুল চোষার বদভ্যাস আছে।
অনেক চেষ্টা করেও হুলোর আঙুল চোষা বন্ধ না করতে পেরে তার মা বললেন, "হুলো, আঙুল চোষা বন্ধ না করলে হঠাৎ দেখবি যে তোর পেট ফুলে ঢোল হয়ে গ্যাছে!"
এইবার ওষুধে কাজ হলো। ভয়ের চোটে হুলো আঙুল চোষা বন্ধ করলো।
এর কয়েকদিন পরে হুলোদের বাড়িতে ওর মায়ের এক বান্ধবী এলেন। তিনি তখন প্রেগন্যান্ট ছিলেন।
হুলো তার আন্টির পেট ফোলা দেখে মুচকি হেসে বললো, "আন্টি, আমি কিন্তু জানি যে তুমি কি করেছো!"

পেট্রোলের দাম

ভারত সরকার পেট্রোলের দাম বাড়ানোর পর, এক জামাই তার শ্বশুরকে চিঠি লিখেছে - 
মাননীয় শ্বশুরমশাই,
আপনি তো জানেন যে পেট্রোলের দাম মোটামুটিভাবে লিটারে আট টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। এই অবস্থায় আমি আপনাকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি যে আপনি দয়া করে বিয়ের সময়ে দেওয়া গাড়িটা অথবা আপনার মেয়ে, যেকোন একজনকে ফেরত নিয়ে যান। আমার পক্ষে দুটোকে একসাথে মেনটেন করা আর সম্ভব হয়ে উঠছে না।
বিনীত,
আপনার মেয়ে-জামাই 
 
  

পচাদার SWOT এ্যানালাইসিস

আমাদের পচাদা কদিন ধরে এম বি এ করছে। হঠাৎ করে আজকাল তার মুখ দিয়ে বেশ ম্যানেজমেন্টের ফাণ্ডা বেরিয়ে পড়ে।
গত রোববারে পাড়ার রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে পচাদা আমাকে বললো, "জানিস রে, প্রত্যেকটা লোকের নিজের সম্বন্ধে একটা SWOT এ্যানালাইসিস করে নেওয়া উচিত।"
আমি একটু অবাক হয়ে বললাম, "মানেটা কি পচাদা? সোয়াট তো পাকিস্তানের কোন এক রাজ্য বলেই জানতাম!"
পচাদা একটু চাচ্ছিল্যের হাসি হেসে বললো, "আরে সেই সোয়াট নয়। এইজন্যই বলি যে সব্বারই ম্যানেজমেন্ট পড়া উচিত। এটা হলো স্ট্রেংথ, মানে শক্তি; উইকনেস, মানে দুর্বলতা; অপরচ্যুনিটি, মানে সুযোগ; আর থ্রেট, মানে ভয় - এই চারটে জিনিসের এ্যানালাইসিস।"
আমি, "বাঃ বাঃ! তা পচাদা তোমারটা করেছো?"
পচাদা বুক চিতিয়ে বললো, "করিনি আবার! আমার শক্তি হলো আমার বউ। দুর্বলতা হলো পাশের বাড়ির বউ। আমার সুযোগ হলো তখন, যখন তার বর ট্যুরে বেরিয়ে যায়। আর ভয়, যখন আমি ট্যুরে বাড়ির বাইরে যাই!"
লে হালুয়া!

অন্য কথা বলো

মেঘনার প্রেমিক রাহুল প্রচণ্ডভাবে ওয়ার্ক্যাহলিক। এই নিয়ে মেঘনার দুশ্চিন্তার সীমা নেই।
রাহুলের ঘ্যানঘ্যান শুনে প্রচণ্ড চটে গিয়ে মেঘনা একদিন বললো, "দেখ রাহুল, সবসময় তোর অফিসের গল্প শুনতে আমার ভালো লাগে না। অন্য কিছু নিয়ে কথা বল। প্রেম-ভালোবাসার কথা না বলতে চাইলে, অন্ততঃ সেক্সের কথা তো বলতে পারিস।"
রাহুল আমতা-আমতা করে তখন বললো, "মানে, আমাদের অফিসের নতুন টাইপিস্ট মেয়েটার সাথে ইদানীং একটু ইয়ে-ইয়ে খেলছি!" ;)

সুখবর

ডাক্তার তাঁর পেশেন্ট ভদ্রমহিলাকে খুব উচ্ছসিত হয়ে বললেন, "মিসেস ঘোষ, আপনার জন্য একটা সুখবর আছে!"
মিসেস ঘোষ নামের পেশেন্ট একটু অবাক হয়ে বললেন, "ডাক্তারবাবু আপনার বোধহয় কোথাও একটা ভুল হচ্ছে। আমি মিসেস ঘোষ নই, মিস ঘোষ।"
ডাক্তার এবার ভারী চিন্তিতভাবে বললেন, "ও আচ্ছা! খবরটা তাহলে খুব একটা সুখের নাও হতে পারে।"

প্রেম করে এ্যারেঞ্জড ম্যারেজ

অনিন্দ্য প্রেরণার সঙ্গে বছর পাঁচেক ধরে প্রেম করতে-করতে দুম করে পরিবারের পছন্দ করা মেয়েকে বিয়ে করে ফেললো।
বিয়ের ক'দিন বাদে বউকে নিয়ে অনিন্দ্য বাজার করতে বেরিয়েছে। হঠাৎ করে রাস্তায় দূর থেকে প্রেরণাকে দেখতে পেলো। প্রেরণাকে দূর থেকে দেখতে পেয়েই অনিন্দ্যর চোখমুখ একেবারে ফ্যাকাসে হয়ে গেলো।
ওর বউ বললো, "তুমি ওরকম করছো কেনোগো মেয়েটাকে দেখে?"
অনিন্দ্য ঘাবড়ে গিয়ে বললো, "ও কে তোমাকে বোঝাতে পারবো, কিন্তু তুমি কে ওকে বোঝাতে পারবো না।"

বিয়ের খরচ

আমাদের পল্টু যখন ক্লাস ফাইভে পড়ে, তখন একদিন তার বাবার কাছে গিয়ে হঠাৎ জিজ্ঞেস করলো, "বাবা, বিয়ে করতে কত টাকা খরচ হয়?"
পল্টুর বাবা, যিনি খুব অমায়িক ভদ্রলোক, তিনি বললেন, "এখনো জানি না রে। বিয়ের সময় থেকেই তো টাকা খরচ হয়েই চলেছে!"

বুধবার, ৩০ মে, ২০১২

সুপ্রভাত

সক্রেটিস সকালের খবরের একটা ডেফিনেশন দিয়েছিলেন।
তিনি বলেছিলেন যে সকালের খবরটা হলো এমন এক জিনিস, যেটা শুরু হয় 'সুপ্রভাত' দিয়ে, আর তারপরই এক এক করে জানিয়ে দেয় যে প্রভাতটা কেনো 'সু' নয়!
:)

বেঁচে থেকে আর কি লাভ

পচাদার বাবা মদ খেতে খেতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পাড়ার ডাক্তার বললো যে লিভার সিরোসিস হয়েছে, স্পেশ্যালিস্ট ডাক্তার দেখাতে হবে।
পচাদা বাবাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলো।
ডাক্তার অনেকক্ষণ ধরে পরীক্ষা করে বললেন, "দেখুন মশাই, যতটুক খারাপ বলে ভাবা হচ্ছিলো, ততোটুক খারাপ অবস্থা আপনার নয়। এখনো যা আছে, তাতে আপনি পনেরো-কুড়ি বছর তো অনায়াসে বাঁচবেন। শুধু মদ খাওয়াটা আপনাকে ছেড়ে দিতে হবে।"
পচাদার বাবা চটি পরতে পরতে বললেন, "তা হলে আর বেঁচে থেকে কি লাভ মশাই?"

সান্টা সিং এর মেয়ে

একজোড়া প্রেমিক-প্রেমিকা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলো।
হঠাৎ একটা দশতলা বাড়ির ছাদে এক সর্দারকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ছেলেটা বললো, "একটা মজার জিনিস দেখবে? ঐ ওপরে দেখো সর্দার দাঁড়িয়ে আছে। ওকে খ্যাপাচ্ছি দেখো!"
এই বলেই ছেলেট ওপরে সর্দারের দিকে তাকিয়ে বললো, "ওয়ে সান্টা সিং, দেখো, আমি তোমার মেয়েকে ভাগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।"
সর্দার এই কথা শুনেই রেগে গিয়ে বললো, "ওয়ে, তেরী তো! তু আবভি রুক জা, ওয়ারনা বহুত পছতায়েগা।"
এই কথা বলেই তাড়াতাড়ি ওদেরকে ধরার জন্য দশতলার ওপর থেকেই দিলো এক ঝাঁপ।
সর্দার এবার ওপর থেকে নীচে পড়ছে।  
আটনম্বর ফ্লোর ক্রস করার সময় সর্দারের মনে পড়লো, "আরে, আমার তো কোনও মেয়ে নেই।"
আরো দু-তিনটে ফ্লোর পড়ার পর তার আবারো মনে পড়লো, "আরে আমার তো বিয়েই হয় নি।"
এইবার আর মাত্র একটা ফ্লোর বাকি, তারপরেই সর্দার মাটিতে আছড়ে পরবে, এমন সময় তার মনে পড়লো, "আরে, ছেলেটা আমাকে বুদ্ধু বানিয়ে গেলো! আমার নাম তো সান্টা সিং-ই নয়!"
তারপরেই ধপাস এবং হাসপাতাল!

ম্যাথেমেটিকালি স্পিকিং

ম্যাথেমেটিকস ডিপার্টমেন্টের অর্কের নতুন এক বান্ধবী হয়েছে।
তার মাস্টারমশাই তাকে জিজ্ঞেস করলেন, "কিহে অর্ক, শুনলাম তোমার এক নতুন বান্ধবী হয়েছে! তা বুঝছ কেমন?
অর্ক বললো, "স্যার, ম্যাথেমেটিকালি স্পিকিং, সমস্যা 'যোগ' হয়েছে অনেক, অর্থ 'বিয়োগ' হয়েছে প্রচুর, শত্রুসংখ্যা বেড়েছে বহু'গুণ', আর বন্ধুরা সব 'ভাগ'লবা!"

আদর্শ মুড

পচাদার তখন নতুন নতুন বিয়ে হয়েছে। একজন স্পেশ্যালিস্ট ডাক্তারের কাছে যুগলে গেছে।
ডাক্তার নবদম্পতিকে বললেন, "দেখুন, সেক্স করার জন্য নিজের আদর্শ মুড পরস্পরকে বোঝানো খুবই দরকার। এর ওপর দাম্পত্য জীবনের খুশী অনেকটা নির্ভর করে।"
বাড়ি ফিরে পচাবৌদি পচাদাকে বললো, "শোনো, অফিস থেকে বাড়ি ফিরে তুমি যদি দ্যাখো যে আমার চুল খুব পরিপাটি করে বাঁধা, তখন বুঝবে আমার ইচ্ছে করছে না। যদি দ্যাখো যে আমার চুল আলগা করে বাঁধা, তাহলে বুঝবে যে আমার ইচ্ছে হলেও হতে পারে। আর যেদিন দ্যাখবে আমার চুল খোলা, সেদিন বুঝবে যে আমার প্রচণ্ড ইচ্ছে করছে।"
পচাদা এই শুনে বললো, "যেদিন দেখবে আমি অফিস থেকে ফিরে এক পেগ ড্রিঙ্ক করেছি, সেদিন বুঝবে যে আমার ইচ্ছে নেই। যেদিন দেখবে যে তিন পেগ খেয়েছি, সেদিন ইচ্ছে হলেও হতে পারে। আর যেদিন দেখবে ছয় পেগ খেয়েছি, সেদিন বুঝবে যে আমার খুব ইচ্ছে করছে। অবশ্য ছয় পেগ খাওয়ার পর তোমার চুল কি অবস্থায় আছে সেটা বুঝতে পারবো না।"

করবীকে বিয়ে করিস না

আমাদের পচাদা ঠিক করলো যে বিয়েটা করেই ফেলবে। পাত্রীও ঠিক। পচাদার ছমাসের পুরোনো গার্লফ্রেণ্ড করবী।
এটা শুনেই পচাদার বন্ধুরা তাকে বললো, "আরে পচা, এরকম বোকার মত কাজ করিস না। তোর কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে?"
পচাদা, "কেনো? মাথা খারাপ হওয়ার কি আছে?"
বন্ধুরা, "আরে শোন। তোর ভালোর জন্যই বলছি। করবীকে বিয়ে করিস না। ও দুর্গাপুরের সব ছেলের সঙ্গেই ঘুরেছে।"
পচাদা রেগেমেগে বললো, "তো? কটা ছেলের সঙ্গেই বা ঘুরেছে ও? দুর্গাপুর তো ছোট্ট শহর। সেখানে কটাই বা ছেলে আছে!" 

সন্ধেবেলা লেডিজ হোস্টেলে

আমাদের পল্টু সন্ধেবেলা কলেজের লেডিজ হোস্টেলের সামনে ঘুরঘুর করছিলো। হঠাৎ করে দারোয়ান তাকে ক্যাঁক করে পাকড়াও করে মেট্রনের কাছে নিয়ে গেলো।
মেট্রন কড়াভাবে পল্টুর দিকে তাকিয়ে আরো কড়াভাবে বললেন, "কার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলে? অঞ্জনা না নন্দিনী?"
পল্টু চুপ করে মাথাটাকে একটু ঝুকিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো।
মেট্রন ফের প্রশ্ন করলেন, "তাহলে কে? প্রমিতা? অপরাজিতা?"
পল্টু তবুও চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে দেখে মেট্রন বললেন, "তোমাকে লাস্ট ওয়ার্নিং দিচ্ছি। তোমাকে এই চত্বরে যেনো আর না দেখি।"
পল্টু পাড়ায় ফিরে এসে বললো, "মেট্রনটা একেবারে খাণ্ডারনি। তবে চারটে মেয়ের নাম জানতে পেরেছি।" :D

ছেলে না মেয়ে - কে বেশী কথা বলে

পল্টু তার প্রেমিকাকে গিয়ে বললো, "জানিস এইমাত্র কাগজে পড়ে এলাম। বৃটেনের বিজ্ঞানীরা রিসার্চ করে বের করেছেন যে ছেলেরা কথা বলতে দিনে ২২০০ শব্দ ব্যবহার করে, আর মেয়েরা ৪৪০০ শব্দ ব্যবহার করে। এর থেকে প্রমাণ হয়েই গেলো যে মেয়েদের বুদ্ধিসুদ্ধি কম। নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে তোদের বেশী শব্দ লাগে।"
পল্টুর প্রেমিকা প্রিয়াংকা খচে বোম হয়ে বললো, "খুব স্বাভাবিক কথা। মেয়েদের একই কথা ছেলেদের দুবার করে বলতে হয়!"
পল্টু ভ্যাবাচাকা খেয়ে বললো, "তার মানে? আবার বল।"

সত্যবাদী পল্টু

আমাদের পাড়ার পার্থ এসে আমাকে বললো, "জানিস কাল বিকেলে পল্টু আমার কাছে দুশো টাকা ধার চেয়েছিলো।"
আমি, "তাই! তা তুই কি টাকাটা দিয়ে দিয়েছিস?"
পার্থ বললো, "হ্যাঁ রে। টাকাটা আমি দেওয়ার পর পল্টু আমাকে অনেকবার থ্যাংকস জানিয়ে বললো যে ও আমার কাছে চিরঋণী হয়ে থাকবে।"
আমি, "তুই তো একদম যাচ্ছেতাই রে। ও বললো, আর তুইও বিশ্বাস করে নিলি? ঐ টাকা আর জীবনে তুই ফেরত পাবি না।"
পার্থ, "যাই বলিস না কেন রে ভাই, পল্টুটার কিন্তু একটা গুণ আছে। ছেলেটা সত্যবাদী। তাই তো বলেছে যে চিরঋণী হয়ে থাকবে!"

পিস্তল না ছুরি

জজসাহেবের এজলাসে খুনের মামলা চলছে।
জজসাহেব আসামিকে জিজ্ঞেস করলেন, "আচ্ছা আপনার তো লাইসেন্সড পিস্তল ছিলো। তা আপনার স্ত্রীকে আপনি গুলি না করে, ছুরি দিয়ে মারলেন কেনো?"
আসামি বললো, "আজ্ঞে ধর্মাবতার, আসলে সময়টা তো মাঝরাত ছিলো, আর আমার ছেলেমেয়ে দুজনেই তখন ঘুমিয়ে ছিলো। আমি ওদের ঘুমটা নষ্ট করতে চাই নি।"

বিয়েতে কারা যাবে

সন্ধেবেলা জয়ের বিয়ে। সকালে তার বন্ধুরা বাড়িতে এসে দেখে যে জয় মুখটা চূণ করে বসে আছে। তার বন্ধু পল্টু জয়কে বললো, "কিরে জয়, আজকে তোর বিয়া, আর তুই যে মুখটা একদম প্যাঁচার মতন কইর‍্যা বইসা আছস! কি হইছে?"
জয় ব্যাজারভাবে বললো, "আর কইস না। আব্বু আর শ্বশুরের মধ্যে সকালবেলা কথা হইসে। তয় আব্বুয়ে কইসে বরযাত্রী একদম কম কইর‍্যা লইয়া যাইবো। এখন ভাবতাসি যে বরযাত্রী কম করতে গিয়া আমারে না আবার বাদ দিয়া দেয়!"

বোকা লোকেদের ভাবনা চিন্তা

আচ্ছা বলুন তো! বোকা লোকেরা সব সময় বসে বসে কি এতো ভাবে?
"
"
ভাবছেন?
"
"
ভাবুন, ভাবুন ...
"
"
"
তাড়াহুড়োর কোনও দরকার নেই ...
"
"
"
আপনি সময় নিয়ে চিন্তাভাবনা করুন ...
"
"
"
"
বসে বসে ভালো করে ভেবে নিয়ে বলুন। :P :P

বুধবার, ২৩ মে, ২০১২

টেকি এবং কথা বলা ব্যাঙ

একজন লোক কাঁধে একটা ল্যাপটপ নিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। রাস্তা পার হওয়ার সময় হঠাৎ একটা ব্যাঙ লোকটাকে ডেকে বললো, "শোনো, আমি আসলে এক শাপগ্রস্ত রাজকন্যা। তুমি যদি আমাকে একটা চুমু খাও, তাহলে আমি আবার ব্যাঙ থেকে রাজকন্যা হয়ে যাবো।"
লোকটা একটু থেমে ব্যাঙটাকে একঝলক দেখলো। তারপর হাতে নিয়ে সেটাকে কোটের পকেটে ঢুকিয়ে রাখলো এবং আবারও খুব দ্রুত হাঁটতে শুরু করলো।
ব্যাঙটা পকেট থেকে আবার বললো, "দেখো, আমি একজন সুন্দরী রাজকন্যা। মুনির অভিশাপে আজ আমার এই দুরবস্থা। তুমি যদি আমাকে চুমু খেয়ে রূপ বদলাতে সাহায্য করো, তাহলে আমি তোমার সাথে এক সপ্তাহ থাকবো, আর তুমি আমার সাথে যা খুশী তা'ই করতে পারো।"
এই শুনে লোকটা হাঁটা বন্ধ না করেই ব্যাঙটাকে পকেট থেকে বার করে একবার দেখলো আর ছোট্ট একটা হাসি উপহার দিয়ে আবার পকেটে ভরে দিলো।
ব্যাঙটা এবার একটু জোরেই বলে উঠলো, "দেখো, আমি সত্যিই এক অপরূপা রাজকন্যা। তুমি আমাকে চুমু খেলে আমি আবার মানুষ হবো। আর আমি তোমার সাথে একবছর থাকবো। তুমি ঐ সময়ে আমার সাথে যা ইচ্ছে তা'ই করতে পারবে।"
লোকটা আবারো ব্যাঙকে পকেট থেকে বার করে, একটু হেসে তারপর আবার পকেটে ভরে রেখে দিলো।
ব্যাঙ এবার কিছুটা হতাশ হয়ে জোরে চীৎকার করলো, "কি হলো? তুমি কি আমার কথা বুঝতে পারছো না? তুমি যদি চুমু খেয়ে আমাকে আবার মানুষ হতে সাহায্য করো তাহলে আমি যে তোমার সাথে থেকে যাবো সেটা শুনেও তুমি আমাকে চুমু খাচ্ছোনা কেন? আর কি চাই তোমার?"
লোকটা এবার একটু দাঁড়িয়ে ব্যাঙটাকে আবারো বের করে বললো, "দেখ, আমি একজন সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার। আমার কাছে গার্লফ্রেণ্ড বা বউ-এর জন্য কোন সময় নেই। কিন্তু কথা বলা ব্যাঙ ব্যাপারটা খুবই কুল। তাই তোমাকে পকেটে রেখেছি!"

বুদ্ধিমান বাচ্চা

আমাদের পাড়ার বিল্টু তার বুদ্ধিমত্তার জন্য এবং ইষৎ পাকামির জন্যও পুরো কলকাতায় ওয়ার্ল্ড ফেমাস!
কয়েকদিন আগে বিল্টুর খুব টাকার দরকার। নতুন কি একটা আইসক্রিম এসেছে তাই সেটা চাখতে যাবে।
বিল্টু তার মাকে বললো, "মা মা, তাড়াতাড়ি আমাকে পঞ্চাশ টাকা দাও না, প্লিজ!"
মা, "এখন হবে না। আমি দিতে পারবো না।"
বিল্টু, "আচ্ছা মা, তুমি যদি আমাকে পঞ্চাশ টাকাটা দাও, তাহলে তুমি যখন বিউটি পার্লারে গেছিলে তখন বাবা কাজের মাসীকে কি বলেছিলো সেটা তোমায় বলবো।"
সঙ্গে সঙ্গেই মার কান খাড়া। তাড়াতাড়ি বিল্টুকে পঞ্চাশ টাকা দিয়ে বললো, "হ্যাঁ রে, তা পয়সা তো দিলাম। এবার বল।"
বিল্টু টাকাটা পকেটে ঢুকিয়ে দরজার কাছাকাছি গিয়ে বললো, "বাবা কাজের মাসীকে বলছিলো -গেলো সপ্তাহের মতন শার্টের কলারে যেন দাগ না থাকে। মেশিনে দেওয়ার আগে কলারগুলোকে একটু সাবান লাগিয়ে ঘসে, তারপর মেশিনে দিও।"
:-P

প্রফেসরের অফার

আমেরিকার এক ইউনিভার্সিটিতে অরগ্যানিক কেমিস্ট্রির একজন প্রফেসর তাঁর কুড়িজন সিনিয়র ছাত্রছাত্রীকে বললেন, "শোনো, আজকে তোমাদের ফাইন্যাল একজাম। আমি চাই না যে এই পরীক্ষার ফলের ওপর নির্ভর করে তোমাদের গ্রেড কমে যাক। যেহেতু গত সপ্তাহদুয়েক ধরে মোটামুটিভাবে উৎসবই চলছে, তাই আমি তোমাদেরকে একটা অফার দিচ্ছি। পরীক্ষা শুরু করার আগে তোমাদের মধ্যে যারা যারা বেরিয়ে যেতে চাও, তারা এক্ষুণি বেরিয়ে যেতে পারো। এই পরীক্ষায় তোমাদেরকে তাহলে বি-গ্রেড দিয়ে দেবো। যাওয়ার সময়, তোমাদের নাম আর রোল নম্বর আমার টেবিলের রেজিস্টারে লিখে দিয়ে যেও।"
ছাত্রছাত্রীরা লাফিয়ে উঠলো এবং বেশীরভাগই প্রফেসরকে ধন্যবাদ দিয়ে হল থেকে বেরিয়ে গেলো।
হলে থাকা বাকী ছাত্রছাত্রীদের দিকে তাকিয়ে প্রফেসর আবারও বললেন, "এই শেষ সুযোগ। এখনো কেউ যদি বেরিয়ে যেতে চাও তো পারো।"
আরো একজন ছাত্র একথা শুনে বেরিয়ে গেলো/
প্রফেসর হলের দরজা বন্ধ করে দিয়ে যারা তখনো রয়ে গেছে তাদের রোলকল করলেন। তারপর রেজিস্টার বন্ধ করতে করতে তিনি বললেন, "কনগ্রাচুলেশন্স! এটা দেখে ভালো লাগছে যে তোমরা নিজেদের ওপর বিশ্বাস করেছো। তাই, তোমরা সবাই এই পরীক্ষাতে এ-গ্রেড পাবে। ক্লাস ওভার।"
হায়, আমাদের প্রফেসররাও যদি এমন হতেন .....

ভগবান বনাম শয়তান

একজন ইঞ্জিনিয়ার অফিসে যাওয়ার সময় হঠাৎ করে হার্ট এ্যাটাক হয়ে মরে গেলো। মরার পর সে দেখলো যে একটা বিশাল গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে, যেটার ওপরে লেখা আছে "স্বর্গদ্বার"। ঠিক সেই সময় চিত্রগুপ্ত এসে হাজির হলেন আর ইঞ্জিনিয়ারকে জিজ্ঞেস করলেন, "হ্যাঁ ভাই, পৃথিবীতে তুমি কি করতে?" উত্তর শুনেই চিত্রগুপ্ত মাথা নেড়ে বললেন, "কোথাও একটা ভুল হয়েছে। তুমি স্বর্গে নয় নরকে যাও।" এই বলেই ইঞ্জিনিয়ারকে নরকে পাঠিয়ে দিলেন।
নরকে থাকতে গিয়ে ইঞ্জিনিয়ার দেখলো যে ওখানে প্রচুর সমস্যা। এসি কাজ করে না, টয়লেটে জল ঠিকমতো আসে না, স্নান করতে গিয়ে দেখা যায় যে হঠাৎ জল শেষ, যখন তখন শর্টসার্কিট হয়ে লোডশেডিং হয়ে যায় ইত্যাদি ইত্যাদি।
সে বিরক্ত হয়ে শয়তানকে বললো, "আপনারা এখানে থাকেন কিভাবে। আমাকে কয়েকটা লোক আর কিছু যন্ত্রপাতি দিন তো। দেখছি কি করা যায়।"
কিছুদিনের মধ্যেই সবকিছু একদম নতুন, ঝাঁ চকচকে হয়ে উঠলো।
হঠাৎ শয়তানের কাছে ভগবানের একটা ফোন এলো। ভগবান জিজ্ঞেস করলেন, "কি ভায়া, কেমন আছো? তারপর সব ঠিকঠাক চলছে তো?"
শয়তান বললো, "হ্যাঁ হ্যাঁ। অনেকদিন পর সবকিছু একদম ফাস্ট কেলাস চলছে। এই গরমে তাই বেঁচে গেছি।"
ভগবান, একটু অবাক হয়ে, "ঠিকঠাক? মানে? কিভাবে হলো?"
শয়তান, একটু মুচকি হেসে, "হুঁ হুঁ বাবা। বারবার শুধু আমাকে ডাউন দেবে ভেবেছো? ঐ ইঞ্জিনিয়ারের জন্য সব একদম ঠিকঠাক চলছে।"
ভগবান, "ইঞ্জিনিয়ার? ইঞ্জিনিয়ারের তো নরকে যাওয়ার কথা নয়! ওকে এক্ষুণি স্বর্গে পাঠিয়ে দাও। না হলে ...।"
শয়তান, "নাহলে কি?"
ভগবান, "নাহলে আমি কেস করে দেবো।"
শয়তান, অট্টহাসি হেসে, "কেস করবে? করো, করো! কোন আপত্তি নেই। শুধু একটা কথা মনে রেখো। তুমি উকিল পাবে কোত্থেকে, সেটা ভেবে দেখেছো? সবকটা উকিল তো আমার এখানে!"

বৃহস্পতিবার, ১৭ মে, ২০১২

মদ খেলে কৃমি হয় না খোকা

আমরা যখন এগারো কেলাসে পড়তাম, তখন থেকে আমাদের এক (সু)/(কু)বিখ্যাত বন্ধু হয়েছিলো উদয়। মানে, তার নামই উদয়!
তার কীর্তিকাহিনী অপার এবং অনেক অনেক গল্পের দাদাকেও ছাড়িয়ে যায়। একবার গাঁজা খেয়ে সে ক্লাসের মধ্যে প্রেজেন্ট স্যার না বলে, চন্দ্রকান্তা সিরিয়ালের ক্রুর সিং-এর স্টাইলে বলেছিলো, "ইয়াক্কু স্যার!"
এই ঘটনাটাও একদম চোখে দেখা সত্যি ঘটনা। কেমিস্ট্রির ল্যাবে স্যার একটা প্লেটে করে দুটো কেঁচো নিয়ে ঢুকলেন। এ্যালকোহলের কি জানি ইয়ে দেখানো হবে।
স্যার দুটো ছোট বিকারের একটাতে আধভর্তি জল নিলেন, অন্যটাতে আধখানা বিকার এ্যালকোহলে ভর্তি করলেন।
এবার কেঁচো দুটোর একটাকে জলে, আরেকটাকে এ্যালকোহলে ঢাললেন। জলে থাকা কেঁচোটা দিব্যি নড়াচড়া করছে, কিন্তু এ্যালকোহলে ঢালা কেঁচো বেচারা একটুক্ষণ ছটফট করেই মারা গেলো।
স্যার সবার দিকে তাকিয়ে বললেন, "তাহলে, তোমরা এটা থেকে কি বুঝলে?"
স্যার আমার মাথার পেছনে একটা উঠে থাকা হাতের দিকে তাকিয়ে বললেন, "হ্যাঁ, বলো।"
উদয়কে একটু ফাঁক করে দেওয়ার পরে বললো, "স্যার, আপনার এই এক্সপেরিমেন্ট থেকে বোঝা গেলো যে মদ খেলে কোনওদিনও আমাদের কৃমি হবে না!"

মঙ্গলবার, ১ মে, ২০১২

রজনীকান্ত জোকস চুটকি - দুই


  • রজনীকান্ত ঘড়ি পড়েন না। কেনো? এটাও জানেন না? আমরা ঘড়ি পড়ি সময় দেখার জন্য। রজনীকান্ত নিজেই ঠিক করেন এখন সময়টা কি!
  • আমেরিকা স্পেসক্রাফট পাঠানোর অনেক আগেই রজনীকান্ত মঙ্গল গ্রহে গিয়ে ঘুরে এসেছেন। এইজন্যই মঙ্গলে জীবন নেই!
  • আপনারা নিশ্চয়ই ডেড সি বা মৃত সাগরের নাম শুনেছেন? কিন্তু তার মৃত্যুর কারন জানেন কি? আসলে রজনীকান্ত মৃত সাগরকে মেরে ফেলেছেন।
  • রজনীকান্তের মতন মিউজিশিয়ান এই পৃথিবীতে নেই। রজনী আন্না পিয়ানো দিয়ে ভায়োলিন বাজাতে পারেন!
  • একবার রজনীকান্ত একজনকে একটা চেক লিখে দিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় তার  এ্যাকাউন্টে অতো টাকা ছিলোনা। কি ভাবছেন? চেক বাউন্সের কথা তো? না মশাই, ভয়ে ব্যাংকটাই বাউন্স করে যায়।
  • একবার রজনীকান্তের সাথে মাইকেল জর্ডনের দেখা হলো। মাইকেল জর্ডন বললো, "আমি এক আঙুল দিয়ে একটা বাস্কেটবলকে দু ঘন্টা ঘোরাতে পারি। তুমি পারবে এটা করতে?" রজনীকান্ত জর্ডনের দিকে তাচ্ছিল্য নিয়ে তাকিয়ে বললেন, "ইয়ান্না রাসকেল্যা! পৃথিবীটা তাহলে কিভাবে ঘুরছে?"
  • যদি রজনীকান্ত অষ্টাদশ শতাব্দীতে জন্মাতেন, তাহলে ইংরেজদের ভারতের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার জন্য লড়তে হতো!
  • রজনীকান্ত ফেসবুকে লগ-ইন করলে সাথে সাথে ফেসবুক নিজের স্ট্যাটাস আপডেট করে নেয়।
  • রজনীকান্ত ইনফিনিটি পর্যন্ত গুনেছেন। দু'বার!
  • রজনীকান্ত ছোটবেলায় একটা ফুটবলকে এত জোরে লাথি মেরেছিলেন যে সেটা পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ ছাড়িয়ে মহাশূণ্যে চলে যায় এবং আজও সেটা সূর্যের চারধারে ঘুরে চলেছে। আমরা তাকে প্লুটো নামে চিনি!

ঘুমপাড়ানি কেস

কোর্টে এক বড়সড় কেস চলছিলো। আসামি পক্ষের উকিল অনেকক্ষণ ধরে এক স্বাক্ষীকে ক্রস-একজামিন করছিলেন। হঠাৎ উকিলের নজরে পড়লো যে জুরিদের মধ্যে একজন ঘুমিয়ে পড়েছেন।
উকিল সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠলেন, "অবজেকশন, ধর্মাবতার। দেখুন জুরিদের মধ্যে একজন ঘুমিয়ে পড়েছেন।"
জাজ জুরিদের দিকে একবার তাকিয়ে উকিলকে বললেন, "আপনিই ওকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছেন, এবার আপনিই ওনাকে জাগিয়ে তুলুন!"

মাতালের সর্পভয়

আমাদের পাড়ার পচাদা একজন বিখ্যাত মাতাল।
কয়েকদিন আগে হঠাৎ দেখি রাত এগারোটা নাগাদ পচাদা যথারীতি টলতে টলতে বাড়ি যাচ্ছে। আরো দেখলাম যে তার হাতে একটা কার্ডবোর্ডের বাক্স, আর বাক্সটার মধ্যে অনেকগুলো ফুটো। একটু কৌতুহল হলো।
পচাদাকে জিজ্ঞেস করলাম, "আরে পচাদা, ঐ বাক্সটা নিয়ে কোথায় যাচ্ছো? আর বাক্সের ভেতরেই বা কি আছে?"
পচাদা গম্ভীরভাবে বললো, "জানিস তো যে মদ খাওয়ার পর আমি চারদিকে শুধুই সাপ দেখতে পাই। আর সাপে আমার ভীষণ ভয়। তাই আজকে একটা নেউল নিয়ে এলাম। এটা থাকলে আর সাপের সাহস হবে না কাছাকাছি আসতে।"
আমি, "কি যে বলো পচাদা! আরে ওগুলো কি সত্যিকারের সাপ? সব তো তোমার মনের কল্পনা।"
পচাদা, "হেঃ! নেউলটাই বা কোথাকার সত্যিকারের?"